পাপড়ি গুহ নিয়োগী-এর কবিতা

বাৎসায়ন

প্রতিবার ভ্রমণের আগে

শহর চমকে ওঠে সোঁদা গন্ধে

তরল জ্যোৎস্না চুয়ে চুয়ে

টানটান হয় মাংসল রাস্তা

বৈঠা রগড়ে মৃত্যুর কাছে যাই

ধীরে ধীরে জুড়ে যাই শেকড় ছায়ায়

জলকে আদর দাও

দ্যাখো, কি আশ্চর্য ধাক্কা খেতে খেতে

কোটরে জল নাচে

কান্না জুড়েদি

অন্ধকার ঘন দেয়াল

শাদা ফুল ফোটে

নীল অসুখ

পরস্পর ওষুধ আমরা

স্নান শেষে পরে থাকে দীর্ঘ শূন্যতা

ইচ্ছা

মানচিত্র হেঁটে তোমার কাছে আসা

এখন সমস্ত রাত ভাবি

যদি একমাস তোমায় কাছে পেতাম

তাহলে প্রতিদিন মাংস হতো দুবেলা

কখনো খুব ভোরে ঠোঁট ঘষে ঘষে

নরম ঘাসের জিভে বৃষ্টি হতো

পবিত্র জল তুমি, চুপচাপ মিটাও তৃষ্ণা

অগ্নি স্পর্শ করো পাগলের মতো

মুহুর্ত হয় উৎসব, যেন স্রোতগান

আমার কাছে তুমি ঈশ্বর সমান

Facebook Comments

Leave a Reply