দূর্বাদল মজুমদার-এর কবিতা
১
ওখানে কার রূপ, ঝরে আছে হেঁতালের বন। রাখো রাখো করে হরি উঠছে আ-দিম্ দিম্ বুকে। শাপলা মেখে ঘরে ফেরা বৌ, নষ্টপুকুর। প্রথমবার রাধারঙ ফিরছে গালে
ধেবড়ে যাওয়া টিপটিই কি তবে যৌনতা!
অনেক আরশি ভেঙে ভেঙে চৌপাট করা ভালো
মসৃণ বাসা
শরীরে বিদর্ভ নিয়ে ওপারের রাঙাশ্বশ্রুমাতা-জটিলা-কুটিলা নানারণ সগরগৃহ ছাড়িয়ে এক বাষ্পমনা নতচোখ উড়ে যাচ্ছে বিহ্বল মেঘে ও আকাশে…
২
একটি নিরঙ্কুশ অন্ধকার
বাতাসের শব্দজানু ভেঙে পড়ে
আলতো পায়ে চলে গেল কোনো রাক্ষস
আমি ও আমার সর্বনাম
গড়িয়ে
গড়িয়ে
পড়ে
উলুখাগড়ার প্রাচীন বল্কলের উপর
এদেশে কোন রাজা নেই
স্বাভাবিক তলোয়ারও নেই
ঘোড়াগুলি মনের ভেতরে খুঁটে নিচ্ছে বীজ,চরে,ডানাগুলি চরে
কলসের কানায় লেগে ভেঙে যায় ফোঁটাগুলি
চোখের পাতায় হাতের স্নিগ্ধ
সারাদিন কানের কাছে ক্রাসার মেশিন
সারারাত পাথরের ভেঙেপড়া কাঁদন
তুমি একে অসুখ ভাবছ
অসুখের ভেতরের গড়িয়ে পড়া প্রতিধ্বনি
সাদা হাত
চারকোল চুঁয়ানো মাহ ভাদর
এইসব নিয়েই এই রুরাল কনডর
দীর্ঘ বিছানা
অলৌকিক আরোগ্যের ইশারায়
কচুপাতা থেকে
টুপটাপ
হিম পড়ে।
Posted in: January 2019, Poetry