অয়ন্ত ইমরুল-এর কবিতা
সাদা ধূলির দূরত্বে
১.
পিছুটি পলিসোহাগা
বোঝা যায় চোখে কড়িকাঠের ঘুম
চির দূরের ফলো সই
যতদূর নকশির ছায়ায় ঝিরিঝিরি সীবন
তার তন্তুর টাটানো আঙুল রিড ভাবছে
আরো বার্চ ওয়াইন গাইবে বায়ু
আহেরিয়া চোখে তিরতির মেরি গো রাউন্ড
ম-ম খুলে গেলে
যে কোন ক্রব্যাদ—
থই থই হরিণে কেমন করে যে মেলোডিয়া ডুকরে ওঠে
মনে
এতটাও ভাবেনি দোলদুর্গা টুনটুনি
শুধু শুধিয়েছিল
ছুটির সে ঘরে বেগানা নাগাড়ে থর থর
দূরবীনে তাই ভোঁ
তখন জল আর সিঁথিহাঁসের মতো নিবিড় সব রাইচাঁদের
বিল
এই যে অন্ধ হুতুমে খোয়াব পড়া রাত
বহুযুগের ওপার থেকে কুটুম পাখির ডাক
যে অর্থে তোমারে উতলা পায়
ঐ গাঙ পানসিময়
ও গাঙবালা
আমারে রাইখো সদাই দিনের মতন কাছে
পরানের মতোন গহীনে
সোনালি খাঁচায় যেমতে থাকে
আদরের সুয়োপাখি
ওক্তমতো যাইয়ো—
যেইখানে তিন মোহনার ঢল
আউলাইয়া দেয় শিথান আর পৈথান
ওক্ত মতো যাইয়ো তুমি
ফাল্গুইনা বাতাসে যদি বুকটায় মোচড় দিয়া ওঠে
আমারে ভাইবো তুমি কোলের সিঁথিহাঁস
শাখা-পলার মুখ
আনচান ঢেউয়ের
নজরানা আমি রাইখা দিছি সন্ধ্যার হরিবটতলায়
২.
বাড়ি ফেরার মেঠোর
দিকে, সইপাতা
দুধ সর নদী
বনা হাওয়ার ধরো
সেতার। গান এত
ট্রোগনের যদি
তোমার মুখের বিঁড়ে এই
স্বর্ণঅশোক,
সুত, মিত ছায়া—
আমারে যে খুঁড়ে খায়
ডাহুকের নাত;
বেথুলের মায়া,
উলের চাঁদেরা জানে কোথায়
বিধুরে
সুঁইচোরা বিলে
আমাদের দেখা খাঁ খাঁ গাঢ়
হয়।
ধুঁদুল পুবের রিলে—
এইসব সন্ধ্যা ধীরে শান্ত হয়ে
আসে একার আশ্বিন—
দাদার হুঁকার মীড়ে কারা যেন
খোলে
অনুপুঙ্খ দিন।
Posted in: January 2019, Poetry