অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কবিতা
উদ্ধাস্তু
ভ্রমণের দৃশ্যগুলি অনিবার্য। গুরুত্ব দিয়ে ভেঙে পড়ছে পুরোনো বাড়িঘর।
চৌরাস্তার ঝোলায় তার প্রতিফলিত যা কিছু লুকিয়ে আছে
তাকে ভুলে যাওয়াই ভাল পার্থক্য হিসেবে।
এই ক্লিপিংস সময় অনিবার্য একটা থেরাপি। নেশানো লেগে থাকা ফরমেট।
যখন পা থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে যেহেতু।স্পর্শ পড়িয়ে নিতেই হিসেবের খাতা এসে
বুটিক ছড়িয়ে যায় ক্রমাগত।আর সীমানা কুড়িয়ে পাওয়া মানুষজন আরেকটু ভারতীয় হতে।
ছেঁড়া ছেঁড়া গানের কলি আমাদের লিখিত উদ্বাস্তুশিবির।
এসবই গুরুত্বের ইতরখানা। বেচাল মাতালের বয়ে আনা আবেগ থেকে সন্দেহের শীর্ষ পর্যন্ত।
যেখনে লটকে আছে মেঘ আর মিলনের বাইরে চলে যাওয়া কাতরের ফেলে দেওয়া জল।
প্রদর্শিত আনুগত্য আর নয়। এবার অখ্যাত হয়ে উঠতে হবে হঠাৎ দিয়ে।
চৌকিটাকে ঘুরিয়ে দরজার ঊষাকে জানাতে হবে…
ফিগারের অভিজ্ঞতা চাই। চাইলে যেন খুলে ফেলতে পারি আশ্রয়। মানুষের সারাণ্ডাগুলি।
ফিরে আসার কথা
রেস্তোরা বিকিয়ে দিয়েছি।আর হাইওয়ের আস্ফালন।
এবার শান্তি।আমাদের প্রিয় দাবাখানা আর চেয়ে থাকার জন্য একটা গলিপথই যথেষ্ট।
এই বলাটুকু শেষ হতে না হতেই সাইরেন বেজে উঠলো।
আর গলির মেয়েরা ঠিক ফিরে আসছে আমার কাছে।আমাদের কাছে।
এভাবেই সেদিন মিছিলের জন্ম।এভাবেই আমার সলিল থেকে বেরিয়ে আসা টিপ।
টিপের চারপাশে এখন পন্ডশ্রম। অন্ডশ্রম।
তবু আমি
মায়ের কপাল নিয়ে, মাংসের গন্ধ নিয়ে, গাছের চোখ নিয়ে উঠে দাঁড়ালাম।
দেখি
বাগান বিক্রি হয়ে গেছে।আর বাগানের মালিক ফিরে গেছেন কবরস্থানে।
সেই পদবি লিখতে রাখতে। ঘটনার বিবরণ শুনতে।
Posted in: January 2019, Poetry
gaacher chokh niye uthe daariye,ayato nil,sudhui nil, kobi lekhe tabu ek akash purnota , Aah !