অস্তনির্জন দত্ত-এর কবিতা

হাঁসেদের কবিতা

হেঁটে যাওয়া কুরিয়র সম্মত। তুমি চলে গেছ। পায়ের পাতা ও পাতা মাড়িয়ে এক থেকে

আর এক ধুলো মাটিতে। এই ফলিত বিদ্যায় যেন তোমার ভেতর প্যাকেট আছে আর

তোমাকে কুরিয়র করেছে কেউ

ভোরের দিকে  পার্থনার দিকে  বিউগলের দিকে যেখানে হাঁসেদের সমবেত ধ্বনি

উঁচু হয়ে জমে আছে, সাঁচি স্তম্ভের দিকে।

হাঁস বৌদ্ধ ধর্মের এক প্রাণী করুণ ও স্নেহাদ্র হে প্রপিতামহী

তুমি কম্নডুলের ন্যায় তাম্রতুল্য, সল্পবাক, ঋষিকল্প, এই সুষমায়

চৈ চৈ মন্দ্রে খাঁচার দরজা খুলে দেবে

সন্ধ্যা নামবে, বাদল নামবে দাওয়ায় নামবে লাল চা ও পিঁপড়ে, পিঁপড়ের মুখে সারি চলে যাওয়া গুঁড়ো

বিস্কুট বলা হবে তাকে।

অবকাশ বললে আমি ডালপালা বুঝি, কেচে দিয়ে গাছের গায়ে

মেলা আছে

আর পাতা টাঙান

আর হাসপাতাল, উন্নত গ্রীবা কনও এক হাঁসের প্রজাতি

যেন

শাদা ও প্রবাহহীন – ১৩ নং বেড

ও টেবিল

ও লংক্লথ, একটি বেদানা

হাসপাতালের পাশে সেই নিমের গাছ, নিমফল পেকেছে সেই আম্পুল

থেকে সিরিঞ্জ ভরে নিচ্ছ  আমার লসিকার ভেতর

আমার লসিকার বাইরে

সামান্য ফুটফুটে তেঁতো বয়নশিল্প হয়ে আছ তুমি, নার্স

হাঁস পুষব বলে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম

গায়ে হাত বুলিয়ে দেওয়ার শাদা

সহজ হাঁস, অথচ

তুমি বললে – ঘুম কোন এক ধাতুরুপ

দুলে দুলে মুখস্ত করতে হয়! সামনে মাদুর থাকে, বোনা থাকে

হ্যারিকেন আর

আমি এই চিত হয়ে শুয়ে এখন ছাদের দিকে তাকিয়ে আছি

আর বলছি

শোনো,

বোতলের ছিপি তুমি আটকে রেখ

অল্প বিয়র রেখ, শায়ম্পু রেখ, ওষুধ হাওয়া ও তরলা আলতা রেখ!

তাতে মাধ্যাকর্ষণ থাকে

ছিপি খুলে রাখলে, খালি, সে ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে।

Facebook Comments

Leave a Reply