মার্ক্সবাদ এবং উত্তরাধুনিকতা: চিন্তার বিন্দু-কুহর তথা কয়েকটি প্রশ্ন – অর্ক চট্টোপাধ্যায়

মার্ক্সবাদ এবং উত্তরাধুনিকতা কি পরস্পরের পরিপূরক না প্রতিস্পর্ধী? এ এক সুবিশাল বিতর্ক যার মীমাংসার পরিসর এখানে নেই। চিন্তার জ্যামিতিতে শূন্য মাত্রায় থাকে বিন্দু। দুই ক্রমজটিলায়িত  চিন্তার সামঞ্জস্য-অসামঞ্জস্য এখানে কয়েকটি ছেদবিন্দু দিয়ে ধরার চেষ্টা করবো। শূন্য মাত্রার এই বিন্দুগুলি শূন্য-বিন্দু। বিন্দু-কুহর। শুরু করা যাক:

প্রথম শূন্য-বিন্দু:-  ফ্রাসোয়া লিওতার যে “incredulity towards the metanarrative” অর্থাৎ যাবতীয় মহা-সন্দর্ভের প্রতি সন্দিহান হওয়াকে অধুনান্তিকের প্রধান লক্ষণ বলে চিহ্নিত করেছিলেন, তার সঙ্গে মার্ক্সের বিপ্লবের ধারণাকে কি এক বন্ধনীতে রাখা যায়? পুঁজিবাদ কি আজকের বিশ্বায়িত দুনিয়া-বাজারের সব থেকে বড় “metanarrative” নয়? কপিবুক লেফট কি বিপ্লবকেও এক সর্বেসর্বা মহা-সন্দর্ভে পরিণত করেনি? একটি মেটান্যারেটিভ দিয়ে কি আরেকটি মেটান্যারেটিভকে রোখা সম্ভব? লিওতার যে “mini-narrative” বা মিশেল ফুকো যে “subjugated knowledge” এর কথা বলেছেন তা এক প্রান্তিক অভ্যুত্থানের ডাক দিয়ে যায়। বিদ্যায়তনিক জ্ঞানের আনাচে কানাচে যে ক্ষমতার গন্ধ লেগে থাকে তাকে দূর করা বা নিদেনপক্ষে জ্ঞান-ক্ষমতার এই আঁতাত সম্পর্কে অবগত থাকা যদি উত্তরাধুনিকের স্বভাব হয় তবে তা কি এক সমকালীন মার্ক্সবাদের নতুন নাম হতে পারে না?

দ্বিতীয় শূন্য-বিন্দু:-  অধুনান্তিক মার্ক্সবাদ মানে কি উত্তরাধুনিক সময়ে দাঁড়িয়ে মার্ক্সের নব্যপাঠ? মাও যেভাবে সরল করে নিয়েছিলেন, বলেছিলেন মার্ক্সবাদের সকল সারাৎসার রয়েছে একটি সহজ বাক্য তথা অবস্থানেঃ “It is always right to revolt against the reactionaries”। মার্ক্সের দ্বন্দ্বের বিন্যাসে থিসিস-অ্যান্টিথিসিস-সিন্থেসিস না দেখে মাও যখন অন্তহীন, দুর্দমনীয় কন্টরাডিকশন দেখেছেন, তাও কি এক “incredulity towards the metanarrative” নয়? দ্বন্দ্ব তথা ডায়লেকটিকস নিজেই যেন এক মহামহোপাধ্যায় হয়ে উঠেছে। তাই তো অন্তরস্পর্ধা! অতয়েব দেরিদার “aporia” তথা অন্ধবিন্দুর প্রতর্ক। গঠন এবং উত্তর-গঠনবাদের প্রস্থানবিন্দু থেকে মার্ক্স পাঠ, লুই অ্যালথুজার যাকে বলেছিলেন “Marx at the limit”। অ্যালথুজারের মার্ক্স শ্রম তথা মূল্যের গ্রন্থনার চিন্তক। তাঁর পরিবর্তনের তত্ত্ব ফিরে যায় সক্রেটিস-পূর্ব বস্তুবাদে, যেথায় মহাশূন্যের উপর পতনশীল পরমাণুর ঝাঁক সহসা সমান্তরলতা ভুলে “clinamen” নামক যুক্তি-উর্ধ্ব বাঁকবদলের মাধ্যমে পরস্পরকে ছুঁয়ে যায়। এভাবেই শূন্য থেকে শুরু হয় জগত, দুনিয়া। মার্ক্সের ডক্টরাল থিসিসের বিষয় ছিল ডেমোক্রিটাস-এপিকিউরিয়াসদের এই আদিম পরমাণুবাদী বস্তুবাদ।

তৃতীয় শূন্য-বিন্দু:- আধুনিকতার সময় কি? সময় কি করে “factory time” বনে যায় আর উদ্বৃত্ত মূল্যের বিনিময়ে তৈরি হয় শ্রম-শোষণের তন্তুজাল। এই সময়ের গভীর খুঁড়ে শোকের সন্তাপপ্রবণতা তুলে আনেন জাঁক দেরিদা। মার্ক্সবাদ তাঁর কাছে হয়ে ওঠে প্রেততত্ত্ব। “A spectre is haunting Europe”। মার্ক্সের লেখার অধুনান্তিক পাঠে তাঁর প্রেত-রূপকগুলি নিবিড়ভাবে বিন্যস্ত হয় হ্যামলেটের অস্থির “out of joint” সময়গ্রন্থিতে। প্রেত বন্ধুপ্রবর। প্রেত অবিনশ্বর। চাকতির লড়াই তাই চলতেই থাকে। আবার, বারবার খোলা হয় চাকতির ঘর। প্রেত শোকসময়ের দূত, অতীতের ভবিষ্যৎ হয়ে ওঠার মন্ত্রণা। কানে কানে সেই তো দিয়ে যায় বেপরোয়া স্বপ্নের হাতছানি! আবার অন্যদিকে পুঁজি যেভাবে দুনিয়া জুড়ে গজিয়ে ওঠে তার মধ্যেও দেখা যায় প্রেতের ছায়াচলন। পুঁজির প্রেতকে বিদ্ধ করতে সমাগত হয় আরেক প্রেত। সন্তপ্ত সময়ের প্রেত অতীতকে মোচড় দিয়ে ভবিষ্যতের দিকে ঘুরিয়ে দিলে মার্ক্সের প্রিয় বিপ্লব শব্দ নড়াচড়া করে ওঠে। অতীত থেকে আলাদা রকম এক ভবিষ্যৎ গড়ে উঠবে, এই প্রতীতির নামই তো মার্ক্সবাদ!

চতুর্থ শূন্য-বিন্দু:- মার্ক্সবাদ কি দর্শন? উত্তরাধুনিকতার পাঠে মার্ক্সবাদ কোনো ‘world view’ নয়, বরং ‘world view’ বদলানোর নাম। অ্যালথুজার মার্ক্সের “The philosophers have only interpreted the world, in various ways. The point, however, is to change it” বাচনকে দর্শন নয়, দর্শনের প্রতর্ক থেকে প্রস্থান হিসাবে পড়েছেন। তাঁর মতে, এই ঘোষণার পর মার্ক্সের লেখায় আর দর্শন বা দর্শন নির্মাণের চেষ্টা নেই। গঠন তথা উত্তর-গঠনবাদ এবং প্রাচীন গ্রীক দর্শন দিয়ে মার্ক্সবাদের অনুপস্থিত দর্শন সাপ্লাই করার প্রয়াস করেন তিনি। ওঁর এবং ওঁর বন্ধু মনোসমীক্ষক জাঁক লাকার কাছে মার্ক্সের বিপ্লব তথা ‘revolution’ তাই এমন এক ঘূর্ণনের নাম যেখানে এক ‘master’s discourse’ এঁর দ্বারা আর এক ‘master’s discourse’ প্রতিস্থাপিত হয়। অর্থাৎ বিপ্লব শীঘ্রই আরেক স্থিতাবস্থা নিয়ে আসে। মার্ক্সবাদকে অধুনান্তিক এখানে আয়রনি সহযোগে আহ্বান করেঃ

“Marxism does not seem to me to be able to pass for a world view. The statement of what Marx says runs counter to that in all sorts of striking ways. Marxism is something else, something I will call a gospel. It is the announcement that history is instating another dimension of discourse and opening up the possibility of completely subverting the function of discourse as such and of philosophical discourse, strictly speaking, insofar as a world view is based upon the latter.” (লাকা) 

পঞ্চম শূন্য-বিন্দু:-  পুঁজিবাদী সমাজে শুধু শ্রম নয়, আকাঙ্ক্ষারও পরকীকরণ (‘alienation’) ঘটে। মার্ক্স বলেছিলেন যে উৎপাদক নিজেই উৎপাদন ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে। জুতোর ফিতে যে বানায়, সোল সে বানায় না এবং এরা কেউ এককভাবে সমগ্র জুতোটিকে দেখতে পায় না। এই পরকীকরণ আকাঙ্ক্ষার ক্ষেত্রেও ঘটে। পুঁজিবাদী সমাজ দিলিউজের ভাষায় আমাদের “desiring machine” এ পরিণত করে অথচ আমাদের নিজস্ব স্বপ্ন-ইচ্ছাগুলোকে ক্রমশ দূরে সরিয়ে দেয়। কখনো বুঝে, কখনো না বুঝে, যে ইচ্ছেনৌকো চড়ে আমরা ভবসাগর পার করতে বেরিয়ে পড়ি, সে নৌকো আমাদের নয়। পুঁজির ইচ্ছের কারখানায় কয়েদ হয়ে অপরীকৃত, হারিয়ে যায় ইচ্ছের নিজস্বতা। আমাদের ইচ্ছে আর আমাদের থাকে না, অপরের হয়ে যায়। মার্ক্স শ্রম-শোষণের কথা বলতে গিয়ে যে “surplus value” তথা উদ্বৃত্ত মূল্যের কথা বলেন তাকে “factory time”-এর অত্যাচার বলা চলে। অধুনান্তিক সময়পর্বে এসে লাকা এই উদ্বৃত্ত মূল্যের সম্প্রসারণ ঘটান “surplus jouissance”-এর বীভৎস এক মজায়। চারপাশে তাকালে বুঝতে খুব কষ্ট হওয়ার কথা নয়, যে আমরা উপভোগের নামে সম্ভোগের সমাজ (“society of enjoyment/jouissance”) গড়েছি। সামাজিক পরিসরে রাষ্ট্রযন্ত্র আমাদের “enjoyment” নিয়ন্ত্রণ করতে চায় আর আমরা খুচরো মজার নামে অপার উপভোগের খাঁচা তৈরি করতে থাকি নিজেদের জন্য। সমারোহের দিন না হলেও অন্তঃসারশূন্যতার উৎসব চলতে থাকে।          

ষষ্ঠ শূন্য-বিন্দু:- মার্ক্স কথিত বস্তুচেতনার সমসাময়িক অনুবাদ কি করে সম্ভব? আলেন বাদিউ উত্তরাধুনিকতায় বিশ্বাসী নন। তিনি কমিউনিজমের বস্তুবাদকে আঙ্কিক বস্তুবাদ (‘mathematical materialism’) দিয়ে নবীকরণ করে নিতে চান। ১৯৬৮ সালের ফরাসী ছাত্র আন্দোলনের আদর্শে প্রাণিত বাদিউ বৈপ্লবিক ‘ঘটমানতা’কে (‘eventality’) অসম্ভব এবং জরুরী—এই দ্বিবিধ দ্বন্দ্বের আকারে প্রকাশ করেন। পরিবর্তন মানেই অসম্ভবের আহ্বান। অসম্ভবকে ঘটিয়ে তোলার ডাক। একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে যাকে সব থেকে বেশি কঠিন বা অসম্ভব বলে মনে হয়, সেই বিন্দু-কুহর থেকে দেখে ঐ পরিস্থিতিকে বদলে ফেলাই হল বৈপ্লবিক অবস্থানের সারবত্তা। বাদিউ মনে করেন, কমিউনিজম ব্যর্থ হয়নি, ব্যর্থ হয়েছে তার একটি অবতার। কমিউনিজমের ঘটমানতা বাদিউর কাছে অঙ্কের ‘হাইপোথিসিস’এর মতো। অঙ্কের ইতিহাসে একটি ‘হাইপোথিসিস’কে ততক্ষণ ব্যর্থ বলা যায় না, যতক্ষণ না সেটি প্রমাণিত হচ্ছে। বাদিউর কাছে কমিউনিজম তাই ব্যর্থ নয়। পুনরনিরীক্ষণের অপেক্ষায় এই প্রকল্পঃ  

“Take a scientific problem, which may well take the form of a hypothesis until such time as it is resolved. It could be, for example, that ‘Fermat’s theorem’ is a hypothesis if we formulate it as: ‘For >n, I assume that the equation xn+ Yn =Zn has no whole solutions (solutions in which x, y and z are whole numbers).’ Countless attempts were made to prove this, from Fermat, who formulated the hypothesis (and claimed to have proved it, but that need not concern us here), to Wiles, the English mathematician, who really did prove it a few years ago. Many of those attempts became the starting point for mathematical developments of great import, even though they did not succeed in solving the problem itself. It was therefore vital not to abandon the hypothesis for the three hundred years during which it was i mpossible to prove it. The lessons of all the failures, and the process of examining them and their implications, were the lifeblood of mathematics. In that sense, failure is nothing more than the history of the proof of the hypothesis, provided that the hypothesis is not abandoned. As Mao puts it, the logic of imperialists and all reactionaries the world over is ‘make trouble, fail, make trouble again’, but the logic of the people is ‘fight, fail, fail again, fight again…till their victory’.” (বাদিউ)      

সপ্তম শূন্য-বিন্দু:- ফ্রেডরিক জেমিসনের মতে আমরা যে অধুনান্তিক সমাজে বাস করি সেখানে স্থান-কালের এক সাইকোসিস ঘটে গেছে। আন্তরজাল এবং সোশাল মিডিয়ার সময়ে দাঁড়িয়ে স্থানকালের এই স্কিতজফ্রেনিয়া বোঝা দুষ্কর নয়। আমরা রিয়ালের থেকে অনেক বেশি ভার্চুয়াল এক দুনিয়াতে বসবাস করি আজকাল। জেমিসন অধুনান্তিককে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার চিন্তাফসল বলে মনে করেন। ওঁর কাছে উত্তরাধুনিক হল “কালচারাল লজিক অফ লেট ক্যাপিটালিজম”। কিন্তু প্রশ্ন হল, পুঁজির এই সাংস্কৃতিক যুক্তিকে পুঁজির বিরুদ্ধে প্রয়োগ কি করে করা যায়। ডিজিটাল রেভলিউশনের সময়খণ্ডে দাঁড়িয়ে আমরা ভার্চুয়ালকে বস্তু বা “material” বলতে বাধ্য। তাই তো টুইটার বিপ্লব বা ফেসবুক তথা হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটি! হ্যাশট্যাগে হ্যাশট্যাগে বিপ্লব এখন ভাইরাল!  একদিকে রাষ্ট্র তার নিয়ন্ত্রণজাল বিস্তার করছে আন্তরজালে আবার অন্যদিকে ব্লগ নিয়ে আসছে প্রতিবাদী মুক্তচিন্তা। ওয়েব ২.০ যেখানে নিজেই ক্রমে এক মেটান্যারেটিভ হয়ে দেখা দিচ্ছে, সেখানে লিওতারের ভাষায় “incredulity towards the metanarrative”এর কথা মনে করিয়ে দেওয়া যায়। ডিজিটালকে উপেক্ষা করা বাতুলতা, কিন্তু সন্দিহান দূরত্ব প্রয়োজন। আন্তরজালের পাবলিক মেমরি কয়েক ন্যানোসেকেন্ডের। বড্ড তাড়াতাড়ি সবকিছু বদলে যায় সেখানে। তাই হয়তো প্রকৃতার্থে বিশেষ কিছু পালটায় না।       

অষ্টম শূন্য-বিন্দু:- মার্ক্স যেভাবে শ্রেণির দ্বন্দ্বে সমাজ চিনেছিলেন তার সঙ্গে অনেকগুলি স্তর-স্তরান্তর যুক্ত করে উত্তরাধুনিকতা। সাব-অলটারন দৃষ্টিভঙ্গি সমাজের ইতিহাসকে শ্রেণির ঊর্ধ্বে স্থাপিত করেছে। ভারতীয় প্রেক্ষিতে শ্রেণির পাশে রাখতে হবে বর্ণ তথা ‘caste’কে। আম্বেদকার বর্ণকে শ্রেণির অপর হিসাবে যেভাবে পাঠ করেছিলেন, তা এখানে বিশেষভাবে স্মর্তব্য। মার্ক্স-উত্তর চিন্তা জেন্ডার এবং মানব-পৃথিবীর বাইরের বৃহত্তর প্রাণ-পরিসরকে সমান গুরুত্ব দেওয়ার পক্ষপাতী। সাম্য এবং স্বাধীনতার লড়াই শুধু শ্রেণি নয়, বর্ণ, লিঙ্গ এবং ধর্মকে কেন্দ্র করেও লড়তে হবে। ধর্ম যদি “opium of the people”ও হয়, তবু ভারতের মতো বিশ্বাসভিত্তিক এবং যুক্তি-ঊর্ধ্ব সামাজিক কাঠামোয় ধর্মকে অবজ্ঞা করার কোন জায়গা নেই। সেকিউলারকে ধর্মের বিশ্বাস বুঝতে হবে, তাকে সম্মান করতে হবে, আবার রোধ করবে ধর্মের ডগমা।

মার্ক্সবাদ আর উত্তরাধুনিকতার এই ছেদ-চিন্তন শেষ করবো দুটি সমান্তরাল সরলরেখার চিত্রকল্প দিয়ে। অসীম বিন্দুর দিকে তাকালে দেখা যাবে ভবিষ্যতের এক “projective plane”এ দুই সমান্তরাল সরলরেখা মিলিত হবে একে অপরের সঙ্গে। তাদের মেলাতে গেলে অসীম বিন্দুর চিন্তা-কুহরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। মার্ক্সবাদ আর উত্তরাধুনিকতা বন্ধু হোক আর না হোক, সমসময়ের দাবিতে তাদের বন্ধুত্ব নির্মাণ এক অসম্ভব তথা জরুরী চিন্তা-প্রকল্প।     

[লেখক – আই আই টি গান্ধীনগরে মানববিদ্যা বিভাগে সহকারী অধ্যাপক। প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে বিএ, এমএ এবং এম-ফিল। অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাহিত্যে ডক্টরেট। পনেরো বছর ধরে গল্প-গদ্য লেখালিখি।]         

Facebook Comments

Leave a Reply