দ্বান্দ্বিক গল্পবাদ – অর্ঘ্য দত্ত বক্সী
বুদ্ধিই সিদ্ধান্ত। আর আমরা টস করি আনন্দে। সিদ্ধান্তহীনতার দ্বন্দ্ব খাদক পিরামিডের সহস্রার। সর্বভুক ও অমিতভোজী। অথবা আয়না আবিষ্কার না হলে সকলকেই দেখতে হত অবিকল টুইন্স। সব পিয়ামুখ হত প্রথমার উপগ্রহ-বন্দনা। মননেও তাই। চেতনায় প্রতিভাত তত্ত্বতঃ তবেই প্রকৃতি। চেতনাকে তবু কারা যেন যান্ত্রিক গলায় হেডফোনে ঘোষণা করে অবিকারী, মেয়েদের বলিষ্ঠ “ও পুরুষ!” বিকারাত্মক বামন ব্যক্তিত্ব, অহিংসা গবাদি পশুর খাদ্য। চেতনায় দ্বিধা এলে রমণে পুরুষ বলে “তুমি রাক্ষসী!” দ্বিধা হলে ২-এর n’th পাওয়ারে শুষে নেয় চেতনের পাওয়ার। চাকাবৃদ্ধিতে পিষে যাওয়া পাস্কাল। আজও তার কর্ণস্থানে বিরক্তি-উদ্রেক প্রেমিক মশক অথচ কীকরে বাঁচে ভেবে দেখেছো কী রক্তমাংসসুখহীন সে অক্রিয় পুরুষ! তারও সাধনা ছিল, বিরহের, হঠাৎই জানতে পেরেছে পুরুষাত্মা নয় বলহীনেন লভ্য… তিনি তাই হ্যাঁপুরুষ হব – তরল লহরী থেকে – হিমঘরে নিয়ে যাও- মেরুদণ্ডলোসিস- বরফে কঠিন এক লিঙ্গ – জল ও শিথিলতা – ছাঁচে পুরে রাখো সারল্য। পুরে প্ল্যান্টের ব্রাণ্ডেড কেমিক্যাল স্বাভাবিক বানাও। শিয়রে সিরোসিস। মদে খাচ্ছে মাথা। স্মৃতি ভুলানোর বুলবুলভাজা ভোলাচ্ছে এমনকী অচ্ছেদিনের সাক্ষ্যও। জাদুপানীয়ের টক টক লুসিডিটি। ‘বোল’পুর থেকে চুরি করা সাহিত্য কেউ ধরল না বলে বোঝে পাঠ্যবিষয়ী নই। লাকি চার্ম ও পারস্পরিক কনফেশন কন্সটিপেশন কমায় যখন দেখে – সে দেখতেও পায় কমপ্যারেটিভ মরবিডোলজি। আর আর আমার গোল গোল গালমন্দ গল্প-“না”। তবে পেসিমিজমও উচ্চাকাঙ্খী দর্শন, তারও চর্যা ও যাপন আছে, নন্দনতত্ত্ব আছে, আছে না-wish fulfillment pleasure theory। বনে গেলে গ্রীনের যেমন মনে গেলে না-এর অসংখ্য শেড্স। কেব্লিয়ে গেছে ইন্দ্রিয়, তার সাইকোমোটরে অ্যাক্সিডেণ্ট…এমনকি তাতে কেয়াবাৎ খোয়া গেছে চোখ, জিভে জড়ত্ব, তেরে মেরে ঠাণ্ডার বাপুরামদের বিষ সহ্য করে চলে নতুন স্ক্রিপ্টের বিমল-বাবা। তবে যেই ঘরে ঢোকে সেই জীবানুর ক্যারিব্যাগ গিফট করে যায় আর আমার এ ঘর বহু অত্যাচারে নেশার জন্য জেগে থেকে নেশার বিরুদ্ধে জেগে থেকে মনে আর পড়ে না দিবাভাগের কাব্য তার- কাল পরশু উইকএণ্ডে প্রত্যহ বেড়াতে যাব মুড অল্টারিং এস্কেপ। আর সুযযি উঠলে মামু মামু মামদোভীতি। তুমি অপমান কর, হে বাস্তব আমি বুঝি না অপমানিত হলাম। তুমি আশীর্বাদ করলে বুঝি না সান্ত্বনা। তুমি অভিমান কর, তুমি ক্ষমা কর, তুমি সহ্য কর, তুমি দয়া কর, হে বাস্তব আমার ক্ষোভ নেই আহতত্ব নেই, করজোড়ে পাই জীবনসুরক্ষা লোগো। অথচ প্রত্যেকটি ব্যক্তির বাস্তব আলাদা। আমাকে মস্তিষ্ক ধার দিলে আমি পারব না তবু তোমার বুদ্ধি যারে দাও তারে সহিবারে দাও শক্তি… ও তোমারেই ফেরত দিলে তবেই আমি দুধেভাতে উৎপাত, তবেই এবং আমি প্রসাদী যন্ত্র… । তোমার চেতনার রং করেছে কালারব্লাইণ্ড। এবং শেষাবধি চিরকাল “এত সরল হওয়া আমার উচিত ছিল না” আউড়ে তুমি কর্মচক্ষু দান করলে দেখি ধবংস-কালী যুদ্ধোন্মাদ কৃষ্ণ আর নিতে পারি না। ফলত চার অক্ষরে বুদ্ধুভুতুম চেপে বসে। কোনরকমে স্থিতিশীল একটা চেতনার ভারসাম্যের স্পেস দুমড়ে মুচড়ে যায় দায়ভরের নিত্যতাসূত্রে। পাগলের ভালো পরমানন্দ প্রবাদে তবু তাই বুদ্ধি যাচি না, ভক্তি যাচি। মাতৃক্রোড়েচ্ছার প্রসাদ সন্তান হতে চেয়েছে তবু শিশু নয় বোধে সব অ্যাকসেপ্ট করে নিলে… সংকটমোচন এই গ্রহণ ও স্বীকার… মেনে নেওয়ার মিরাকেল… এবং অসংলগ্নতার প্রয়োগে যা লিখলাম তা সবই একটি কথা – একটিমাত্র ধবনিময় চিন্তা। ওহো কতদিন বাদ ডানপন্থী মস্তিষ্ক-বাদ-ই ডাইমেনশনহীন অন্ধকার বিন্দুসাধনা। এবং আজও আমার লেখায় সমুদ্র আসেনি… ডানলপে সমুদ্র নেই… আমার লা কাজা-এ পরিব্রাজকের মতো আজও বিষ্ময় নিয়ে চেনা এ-গলি হ্যাঁ গোওও গলি…
Posted in: January 2019, Prose