অর্ঘ্য বন্দ্যোপাধায়-এর কবিতা
বাজে কবিতা ১
চুলে ঝাঁপিয়ে পড়ছে হেমন্ত । সন্ধ্যের রোদে কাঁদছিল সময়ের স্তব। বরানগরে আজ সর পড়ে আছে। হারমোনিয়াম কেঁদে কেঁদে। জপমালা কেঁদে কেঁদে। মানুষে মাথা দোলে। ডান ও বামে। হাত জড়ো হয়ে আসে। মিহি সর শাদা হয়ে ফেটে পড়ে লেনে বাই লেনে । সাইকেল হরিণ নিশ্চুপে ডিঙ্গোয় ঘাসবন। ভীতু ও সন্ত্রস্ত খরগোশ যায় আঁকার টিউশনি। আমি পাল্লা দি পরীদের সাথে। স্থূল ও অকৃতজ্ঞ পরী। কাঁদা হাসা ভালোবাসায়। যুক্তি প্রযুক্তিতে তাদের সাথে পাল্লা আমার। কত বন্ধ দরজা খুলতে হয় তাদের জন্য, কত খোলা দরজার পাল্লা, ছিটকিনি, কড়া নাড়ার শব্দ বেচে কিনে দিতে হয় ইভনিং শোয়ের টিকিট, তাদের সালোয়ার কামিজের রঙের সাথে মিলিয়ে দিতে হয় কবিতার লাইন। তাতে তাদের গ্রাফ ওঠে নামে। তাতে তাদের মারিজুয়ানা ছেদহীন হয়ে পড়ে। তারপর অনেক অনেক পরী খেলা হলে, শেষ হল বলে বাশি বাজে। ক্রীড়া বিভাগের সাদা গাড়ী, বাড়ীর দরজা খুঁজে বারবার নামাতে নামাতে যায় রঙিন মাছগুলো।
বাজে কবিতা ২
টমাকে বারান্দায় কখনো দেখি। অগোছালো বারান্দাখানার সমীপ বলে যদি কিছু থাকে, তাতে। ‘আমি ও টব’ ‘আমি ও ছেলেখেলা’ নামে সেলফি তুলতে তুলতে তোমার উত্তরে হাওয়া দ্যায়। বুঝি শীতকাল এলো। বুঝি মানুষের বড্ড কাছ দিয়ে ঊড়ে যাবে ক্রেন, বালিহাস,ফ্ল্যামেঙ্গো ইত্যাদি প্রভৃতি শব্দবন্ধ। তুমি হালকা পায়ের খেলা খেলো। হালকা ঠোঁটে ধবধবে কাপে চুমুক নামিয়ে রাখ। যেন এখুনি তাতে হয়তো এখুনিই রাখা হয়েছে মকাইবাড়ি। শব্দ হয়তো নেই। প্রযত্নে অত হয়তো অভিধান নেই। জা তোমার পকেটে রেখে আসবে এর লাল ও সাদা। জারবেরা। সত্যই জানিনা ফুল অথবা তুমি, ফুল অথবা ফল, ফুল অথবা কাঁটা, ফুল অথবা অবান্তর দীর্ঘ যাত্রাপথ। সমীপ বলে সত্যিই যদি কিছু থাকে, তার কলিং বেল জা কাজ করছে না। আজ সে বাড়ীকে রোব্বারের মত করেই রং করে। তাতে হারানো কবিতা নিয়ে মেরুন পিঠের প্রানী হাসে। হাসার ব্যকরণ খুলে ফ্যালে তার আত্মা দেখবে বলে। কিন্তু আর জুড়তে পারে না। না জুড়ে ছুড়ে ফেলে দিয়ে আরেকটা হাসির জন্য বায়না করতে থাকে সে। এমনভাবে সে তার বায়না সাজায় তাতে বারান্দাকে স্তব্দ একটা জ্যামিতি বাক্সের মত মনে হয়। যেন যেকোনো সময় পৃথিবীকে মাপা যায়। সাম্পনে গাছের সমুদ্র। তোমার স্কুলের গেট। যা বোগেনভেলিয়া দিয়ে বন্ধ করা আছে।
Posted in: January 2019, Poetry